image1 image3

HELLO I'M T R NAYAN|WELCOME TO MY PERSONAL BLOG|I LOVE TO DO CREATIVE THINGS|I'M NOW STUDING

Friendship Vs Love


-আচ্ছা সেই দিনটার কথা মনে আছে তোমার?
: কোন দিনটার?
-আমরা প্রথম যেদিন দেখা করেছিলাম
: উমম্.. হ্যা.. মনে আছে। তুমি সেদিন যা ভয় পাচ্ছিলে.. আমার থেকে ৫ হাত দূরে দূরে হাটছিলে..
- ভয় তো পাওয়ারই কথা.. প্রথম কোন মেয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলাম... তাও আবার যাকে কখনও দেখিই নি..
: আমিও তো দেখি নি .....কিন্তু জানো...কিভাবে যেন সেদিন দূর থেকেই তোমাকে চিনেছিলাম...
-আমি জানি।
: হ্যা,, তুমি তো সবই জানো..
-জানবই তো! আর তুমি যে আটা ,ময়দা,সুজি মেখে এসেছিলে ।
: ঐ!!! আমি আটা ,ময়দা,সুজি মাখি না বুঝছ?
-সবাই বলে।
: চুপ.
- সত্য বললাম তো......
: ঐ ভালো হচ্ছে না কিন্তু...........................................................................................................................................................................................................................................................
.ফ্রেমের ছবিগুলো দেখে পুরোনো দিনের কথা কল্পনায় ভাসতে থাকে অদিতির।
আজ ৩ বছর হলো তাদের দেখা নেই। এই ৩ বছরে অনেক খুঁজেছে অদিতি নিলয়কে। কিন্তু নাহ্। কোনো খোঁজ কেউ দিতে পারে নি।
কোথায় যেন হঠাৎ করে হারিয়ে গেল ছেলেটি।
শেষ চিঠিতে লিখেছিল নিলয়,“আমায় কখনও খুজিস না,ভালো থাক্। তোর ক্ষতির কারণ হতে চাই না আমি।”



সেদিন ছিল জানুয়ারীর ২২ তারিখ,২০১৪ অদিতির জন্মদিন। সবার আগে জন্মদিন উইস করার অভ্যাসটা অনেক আগে থেকেই নিলয়ের। সেদিনও ঠিক একই কাজ।
কিন্তু একটি ভুল !! আসলে ভুল কিনা তা এখনও অদিতি বুঝতে পারে না। হঠাৎ করেই নিলয় অদিতিকে প্রপোজ করে বসে।
কি আর হবে! সচরাচর যা হয়!! অদিতি বলে দেয়-
: দেখ্ নিলয়,এসব সম্ভব না। আমি কখনও তোকে বন্ধুত্বের উপরে কিছু ভাবি নি।
-এখন ভাব্।
: না নিলয় সম্ভব না। আমরা এমনই ঠিক নেই কি ,বল্?



সেদিন আর কিছু বলল না নিলয়। পরের দিন সব মজা করেছিল বলে উড়িয়ে দেয় নিলয়।
সব আগের মতই চলছে।

: এই শোন্! কাল আমার Assignment করে দিবি। আমার কাজ আছে কাল।
- কি???? তোর Assignment আমি কেনো করব??
: করবি না?? 😡
-আচ্ছা আচ্ছা যা হয়ে যাবে। তো!! হঠাৎ কাল তোর কি এমন কাজ পড়ল?? যে আমাকে এত্ত বড় কাজে ন্যস্ত করলি?
: পরে বলব
- না এখনি। 😡 নইলে কোনো কাজ হবে না।
: কাল ওর সাথে দেখা করতে যাবো.
-ওর সাথে মানে?? ওয় টা কে? 😮
: ওহ্ তোকে বলিনি??
-মানে? 😮
: আমি সাগরকে পছন্দ করি। কাল দেখা করতে যাবো।
- আগে তো বলিস নি?? এত্ত কিছু লুকাও আমার থেকে?? হ্যা??
: আরেহ্ না। তোকেই তো বললাম ।
-হুম...। বেস্ট অব লাক্. 😃
.
.
শীতের সকাল। সকাল বললে ভুল হবে। শীতের ভোর। রাস্তার পাশে গাছটার নিচে দাড়িয়ে আছে নিলয়। মহারাণীর হুকুম আজ তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে।
রাতে ফোন দিয়ে বলেছিল, সাগরের সাথে দেখা করতে যাবে। কিন্তু একা কিভাবে?? তাই নিলয়ের উপর আরেকটি কাজ ন্যস্ত হয়ে গেল। কথা না শুনলে আবার পরের দিন ধোলাই হবে। কি আর করার আসতে হয়েছে।
.
: হ্যালো! তুই এসেছিস?
-নিচে তাকিয়ে দেখ্।ঠান্ডায় মরতেছি।
: তুই এত্ত ভালো কেন?? 😊 আমি আসতেছি Just wait.


রাস্তার অপারে অদিতি দাড়িয়ে। সবুজ শাড়িতে ওকে এত্ত সুন্দর লাগছে।নিলয়ের চোখ আটকে গেছে।


: কি রে!! কি দেখিস্ । কেমন লাগছে বলতো?
-একদম আমার স্বপ্নের পরী। 😍
: কি???? 😡
- না মানে অনেক সুন্দর লাগছে তোকে। 😊
: Good. চল্। ৮ টার আগে পৌছতে হবে।ও কিন্তু বেশী দেড়ি করলে রাগ করবে।
- আর আমি যে যাচ্ছি??
: ওটা আমি ম্যানেজ করে নেব। Tension not yaar..



কৃষ্ণকলিতে তিন’জনে বসে আছে। সাগর,অদিতি আর নিলয়। নিলয় ওদের কথা বলতে দিয়ে একটু বাইরে আসল।
মামার দোকানটা ভালোই সাজিয়েছে আজ। সিগারেটটা মুখে দিয়ে মামার সাথে গল্পে মাতল।
ফোন বাজছে। ফোনটা বের করে দেখে অদিতির কল।( অদিতি???? )

দৌড়ে ভিতরে যায়। গিয়ে যা দেখল তা দেখার আশা করে নি নিলয়। অদিতির চোখে পানি।গালে ৪টা আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট। সাগর নেই।
বুঝতে আর বাকি রইল না,কি হয়েছে এখানে।প্রচন্ড রাগ উঠতেছে নিলয়ের। সবসময় হাসিখুশি থাকা মেয়ের চোখে পানি দেখে।
কিন্তু এখন সেই চোখের পানি মুছে দিয়ে দেয়া দরকার।আলত করে চোখের পানিটুকু মুছে দিয়ে ,বুকে জড়িয়ে নিল। অদিতি চুপ করে আছে।যেন এক পরম শান্তির জায়গায় সে মাথা রেখেছে।
অদিতিকে বাসায় পৌছে দিয়ে নিলয় বাসায় চলে আসল। ঘুমানোর আগে অদিতিকে একবার ফোন করা দরকার।মনটা হয়তো খুব খারাপ ওর। নিলয় ছাড়া কেই বা ওকে বুঝবে?

-হ্যালো! SleepQueen ..আপনি কি ঘুমুচ্ছেন??
: বল্.কি বলবি?. ভালো লাগছে না।
-আজ ওখানে কি হয়েছে জানতে চাইব না। কিন্তু ওসব ভুলতে পারলে তোর ভালো লাগবে। আমি আছি না তোকে হাসানোর জন্য।ও দেখিস ,কাল ঠিকই কল দেবে তোকে।
:তুই কি আমার ভালো চাস??
-এটা আবার কেমন প্রশ্ন? অবশ্যই চাই..
:তাহলে আমাকে আর ফোন দিসনা।
-মানে ??
: আজ ওখানে যা হয়েছে......সাগর কেনো যেন তোকে দেখতে পারে না। বুঝিনা।
-বুঝেছি। আমার জন্যই আজ এমন হয়েছিল।
: অদিতি চুপ করে আছে। বুঝা যাচ্ছে ও কাঁদছে।
-শুন। আমি চাই তুই সবসময় খুশি থাক। তোকে সবসময় খুশি রাখার চেষ্টা করি।আর আমার জন্য তোকে আমি কেন চোখের জল ফেলতে দেব বল??
:আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না রে। মাথাটা খুব ধরেছে। রাখছি এখন।
................................................
নিলয় আর কিছু বলল না। পরের দিন ভার্সিটিতেও আর আসে নি নিলয়। কোথায় চলে গেল, কোনো খোঁজ কেউ দিতে পারল না। শুধু পরে থাকল ফ্রেমে বাধানো নিলয়ের কিছু ছবি।

অদিতি এখন কোথায়,সাগরই বা কোথায়? তা নাহয় অন্যদিন বলব।
.
.
.
T R Nayan
#মায়াবন_বিহারিণী
(Repost from '16)


17th December,2016

Different between Love & Friendship:


You give your whole heart to your love
& they break it.
But you give your broken heart to your friend 
& they make it.


Share this:

CONVERSATION

2 comments: